ক্যাম্পাসের প্রতি মায়া
৫১ সিদ্বেশ্বরী রোড,ঢাকা-১২১৭ তে অবস্থিত স্টামর্ফোড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
২০০২ সাল থেকে ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক সুন্দর পরিবেশ নিয়ে ক্যাম্পাসটি আবদ্ধ!
ব্যস্ত নগরী ঢাকার বুকে একটু স্বর্গ বলা যায়, সবুজে ঘেরা পরিবেশে আর প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়া মত একটি জায়গা আমার প্রিয় ক্যাম্পাস।
ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবন,বিশাল এক লাইব্রেরী, উন্নতমানের ক্যান্টিন ছাড়াও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে রয়েছে দুটি ৭ তলা বিশিষ্ট আর দুতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন,এছাড়াও বিভিন্ন ল্যাব, ক্লাব,খেলার মাঠ আর সবুজে ঘেরা বাগান, রয়েছে একটি মসজিদ।
আমার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে।সে প্রথমদিন থেকেই নিজের ক্যাম্পাসের প্রতি মায়া জমে আছে মনের মাঝে,এটি কোনো ভাষায় ব্যক্ত করার মত না।
করোনা মহামারীর জন্যে যখন সব কিছু লকডাউনে,এই সময়টায় নিজের প্রিয় সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসটির কথা মনে পড়ে বহুবার।
মনেপড়ছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ক্লাসরুমে শিক্ষকদের পাঠদান।
মিড, ফাইনাল পরিক্ষা আর ক্লাস টেষ্ট!
ক্লাসের ব্রেকে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট, ফুটবল খেলা,ডিবেইট করা সব কিছুই এই করোনা মহামারীর জন্যে হারিয়ে গেলো হুট করেই।
লকডাউনে বাসায় বসেই চলছে পাঠদান, আমার ইউনিভার্সিটি সবার আগেই অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলো,মার্চ এর ২৫ তারিখ থেকেই। করোনা কালে নিজের প্রিয় বন্ধু,শিক্ষকদের সাথে একসাথে ক্লাস করে নিজের অলস সময় টা যেমন পার হচ্ছে তেমনি অনলাইনে ক্লাস করে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হচ্ছে,নতুন অনেক অজানা তথ্য শিখছি, জানছি।
লকডাউনের আগের সময়টায় নিজের পড়াশুনার জন্যে নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটানো যেত না ঠিকমত,বিশেষ করে গ্রামের বাড়িতে বেশিদিন থাকা হতো না,মায়ের কাজে সাহায্য করা যেত না তার সাথে সময় কাটানো যেত না,এখন লকডাউনের কারণে পরিবারের সাথে সময় কাটানো যাচ্ছে, মায়ের কাজে সাহায্য করা যাচ্ছে,নিজের ইচ্ছা,শখ গুলো এই লকডাউনের অলস সময়টায় পূরণ করার সময় পেয়ে যাচ্ছি।
নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করছি এক নতুন শুরুর জন্যে।
তবে লকডাউনের আগের জীবনটায় আবার ফিরে যেতে চাই,নিজের বন্ধুবান্ধবদের,নিজের প্রিয় ক্যাম্পাসকে আবার ফিরে পেতে চাই।
লেখা- আকাশ চন্দ্র দাস
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
Comments
Post a Comment